বাজেট ২০১৯-২০ অর্থ বছরে যে সকল পণ্যের আমদানি শুল্ক অর্থাৎ মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্যাকেটজাত তরল দুধ, গুঁড়া দুধ, আমদানি করা কাঁচা চিনি ও প্রক্রিয়াজাত চিনি, গ্লকোজ, প্রাকৃতিক মধু, বডি স্প্রে, বিভিন্ন ধরনের কুকার, কুকিং প্লেট, সব ধরনের অলিভ অয়েল, এসি মটর, প্রক্রিয়াজাত মিক্সড খাদ্য, এসি/ডিসি দুই ধরনের বিভিন্ন প্রকার বৈদ্যুতিক মটর, অপটিক্যাল ফাইবার কেবলস, ফ্লাস্ক, বোতল, জার, পট, গ্লাস, ওভেন, গ্রিলার, রোস্টার, প্লেট ও চুলা। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে আসছে অর্থবছরে।
বাজেট ২০১৯-২০ অর্থ বছরে মূল্য বৃদ্ধির শীর্ষে যে সকল পণ্য |
সোনা ও রুপার অলঙ্কার, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, লঞ্চের এসি কেবিন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ইনডেনটিং, আসবাবপত্র, পরিবহন ঠিকাদার, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার ওপর খরচ বাড়বে। এর বাইরে গুঁড়া মসলা, টমেটো কেচাপ, চাটনি, ফলের জুস, টয়লেট টিস্যু, টিউবলাইট, চশমার ফ্রেম, সিআর কয়েল, জিআই তার, তারকাঁটা, স্ক্রু, ব্লেড, ট্রান্সফরমার, সানগ্লাস, রিডিং গ্লাস, এলপি গ্যাস, আমদানি করা পার্টিকাল বোর্ড, আমদানি করা সব ধরনের টায়ারের দামও বাড়তে পারে। আইসক্রিম ও বরফজাত দ্রব্বের উপর ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে, ফলে বাড়তে পারে এর দামও।
আমদানিকরা ভোজ্য তেল এবং প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য এতদিন মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতি পেয়ে আসছিল। কিন্তু নতুন অর্থবছর থেকে তাতে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে আমদানি করা প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি তৈজসপত্র, সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, সানফ্লাওয়ার তেল, সরিষার তেলের দাম বাড়তে পারে। সিগারেট-বিড়ির উপর সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত রেখে শলাকার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে জর্দা, গুলসহ সব ধরনের তামাক পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক ১০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করায় এর দাম বাড়তে পারে। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় টিভি ও অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সরবরাহকারী জ্যোতিষী ও ঘটকালি সেবার ওপর স্থানীয় পর্যায়ে এবং টেলিকম খাতে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন। এছাড়া সিম ব্যবহারের মাধ্যমে পাওয়া সেবার উপর শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করায় মোবাইল ফোন ব্যবহারে খরচ বাড়তে পারে। আমদানি করা মোটরসাইকেলের দাম বারার সম্ভবনা রয়েছে ব্যাপক। গণপরিবহন ও অ্যাম্বুলেন্স সরকারী পরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের নিবন্ধন, রুট পারমট, ফিটনেস সনদ, মালিকানা সনদ সহ আনুশাঙ্গিকতা গ্রহণ ও নবায়নের পরশোধিত চার্জ বা ফি এর উপরে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ ফ ম মস্তফা কামাল, যার ফলে উপরুক্ত শুল্ক বাড়তে পারে। এছাড়া বিমান ও হেলিকপ্টারের সম্পূরক শুল্ক বেড়েছে। আমদানি করা মোটরসাইকেলের দাম বাড়বে। যাত্রীবাহী গন পরবহন যেমন বাস, স্কুল বাস, ট্রাক লরি, থ্রি হুইলার ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট, ফিটনেস সনদ, মালিকানা সনদ নবায়ন ও গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিশোধিত চার্জের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। পেশক্রিত আই বাজেট জাতীয় সংসদে পাশ হবে আগামী ৩০ জুন। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এই বাজেটের পর্যালোচনা শুরু আগামী ১৭ জুন থেকে।
No comments:
Post a Comment