Breaking

Google Search

Tuesday, July 2, 2019

বরগুনায় রিফাত হত্যার মূল আসামি 'নয়ন বন্ড' এবং কথিত বন্দুক যুদ্ধ

বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি 'নয়ন বন্ড' রাবের গুলিতে নিহত হয়েছে। 

 তথ্য অনুযায়ী বরগুনা লঞ্চ ফেরিঘাট এলাকায় রয়াবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত নয়ন বন্ডের মৃত্যু হয়।

রয়াবের সাথে বন্দুক যুদ্ধ

ররয়াব পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধের এই নাটক আর কতদিন চলবে। দেশের সন্ত্রাসীদের শাস্তি দেয়ার দায়িত্ব যদি রয়াবের হয়ে থাকে তাহলে দেশে কোনো আদালত না থাকলেও চলে।  জনগনের টাকায় এতো এতো সরকারী চাকুরীজীবী পালন করার তো কোন মানে হয় না। কারন বাংলাদেশ রয়াব তাৎক্ষণিক বিচার করে তাৎক্ষণিক সাজা দিয়ে দিতে সক্ষম। 

নৃশংসতা 

সমগ্র দেশবাসী রিফাত হত্যার মতো এমন নারকীয় হত্যাকাণ্ডে দুঃখপ্রকাশ করেছে। রিফাত খুন হয়েছিল নয়ন বন্ডের হাতে আর হয়ন হল বাংলাদেশ পুলিশের হাতে। আমাদের দেশে লক্ষাধিক পুলিশ কর্মকর্তা কর্মচারী বিদ্যমান। এতগুলো পুলিশ মিলে একজন অপরাধীকে জীবিত গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করতে না পারলে বন্দুক যুদ্ধের মতো মন গরা গল্প তৈরি করা ছাড়া আসলে কিছু আর করার থাকে না।
 পিছনের বড় কোনো ঘটনাকে চাপা দেয়ার জন্য বন্দুক যুদ্ধের মতো নাটকীয় কল্পকাহিনী তৈরি হয়।
 কিভাবে ???
কারন, অভিযুক্ত আসামী ধরা পরলে আদালতে সঠিক বিচার ও তদন্ত শুরু হয়। নয়ন বন্ডের মতো সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক যারা তাদের আসল রূপ আদালতে বিচার শুরু হলে জনগনের সামনে চলে আসবে। এই পৃষ্ঠপোষকরাই সবচেয়ে বড় অপরাধী যাদের আমরা সবসময় এড়িয়ে যাই। সমাজের এই শ্রেণীর মানুষকে বাঁচানোর জন্য বন্দুক জযুদ্ধের  গল্প তৈরি হয়। একজন খুনিকে খুন হতে হয়। দেশের আইন আদালত ও বিচার বাবস্থা খুবই অসহায় এই শ্রেণীর কাছে।

প্রস্নবিদ্ধ

জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত আসামি কঠোর সাজা পাবে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার, কিন্তু তার জন্য দেশে আদালত আছে। ক্রস্ফায়ারের দোহাই দিয়ে আদালতের কোন তওয়াক্কা না করে আসামীকে গুলি করে মেরে ফেলা কততুকু যুক্তিসঙ্গত ??? আইনের দায়িত্ব প্রাপ্তরা যদি এমন বে-আইনী কাজ করে যেতে থাকে তাহলে খুব শিগ্রই দেশে আইন, আদালত বলে কিছু থাকবে না। 
দেশের জনগন এমন কর্মকাণ্ডে প্রতিবাদ করে না ঠিকই, কিন্তু শান্তিপ্রিয় জনগন বিষয়টিকে মন থেকে সমর্থনও দেয় না। বাংলাদেশ সরকারের উচিত বিষয়টি পর্যালোচনা করা। গ্রেফতারের দায়িত্তটা পুলিশ রয়াবকে দিয়ে আদালতের হারান দায়িত্ত আদালতকে পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া। বিচার যদি রয়াব পুলিশ করে তাহলে বিচার বাবস্থা বা আদালতের কি দরকার? তাতেও যদি সরকারের কিছু টাকা সাশ্রয় হয় মন্দ কি।  উপায়? - দেশের সমস্ত কোর্ট - কাচারি আদালত বন্ধ করে দিয়ে সমস্ত দায়িত্ব পুলিশ রয়াবের কাঁধে তুলে দেয়া। 

 ১০০ জন পুলিশ রয়াবের বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে বন্দুকজুদ্ধ করার মতো সন্ত্রাসী বাহিনী বাংলাদশ তোঁ দুরের কথা এশিয়া মহাদেশেও নেই। একটা ককটেল ছুড়ে মারা আর ১০০ জন সশস্ত্র পুলিশ রয়াবের সামনে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করা একজিনিস নয় এটা দেশের মানুষ খুব ভালোভাবেই বোঝে। সুতরাং আপনাদের এই মনগড়া গল্পে ৩ টি দিক স্পষ্ট
১। আইনের পোশাক গায়ে জরিয়ে হত্যাকারীকে দেশের প্রচলিত বিচার বাবস্থা ছারাই হত্যা করা।
২। পৃষ্ঠপোষক শ্রেণীকে দেশবাসীর সামনে থেকে আরাল করে রাখা।

৩। তিলে তিলে দেশবাসীর কাছে প্রশাসনের গ্রহঞ্জজ্ঞতা বিলুপ্ত করা। 
জঙ্গিবাদের চারা রোপণ করে জঙ্গিবাদ নির্মূল করব এটা বললে বাঙ্গালী মেনে নেবে না।  

যাইহোক, ধারাবাহিকতায় -  গত ২৬ জুন সকাল ১০ টার দিকে দুর্বৃত্তরা রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে টার স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে হত্যা করে। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে অসংখ্যবার কুপিয়ে স্থান ত্যাগ করে। উপস্থিত লোকজন রিফাতকে তাৎক্ষণিক বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে রিফাতের মৃত্যু হয়।
আরো সংবাদ

অবশেষে লাইফ সাপোর্টে হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ


No comments:

Post a Comment

Search your Quaries

About

Labonno News is a very reliable source of the latest online news of Bangladesh and all Bangla breaking news. Latest Bangla Online News / Article Sports, Crime, Business, Politics, Education, National, etc