রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড
স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের দিকে আঙ্গুল
নৃশংস হত্যা কাণ্ড ঘটার ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর গ্রেফতার অভিযান
চালাতে সময় নিয়েছিল পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে তাৎক্ষণিক সংবাদ পাওয়ার পরেও কেন এত সময়
নিল পুলিশ গ্রেফতার অভিযান চালাতে?
নাকি পুলিশ প্রশাসন অজান্তেই আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার
জন্য সময় বেধে বেধে দিয়েছিল?
রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে রেড এলার্ট জারি – মূল অভিযুক্ত এখনো লাপাত্তা |
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে নয়ন বন্ড এবং
রিফাত ফরাজীর মতো কুখ্যাত সন্ত্রাসী, যাদের বিরুদ্ধে থানায় ৮-১০টি করে মামলা রয়েছে
এবং যারা এর আগেও বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছে কিন্তু তাদের চিনতে পুলিশের দেরি হল
কেন?
সকাল ১০ টায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা পরিদর্শনে আসতে কেন
সন্ধ্যা বাধিয়ে দিলো বরগুনা সদর থানা
পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবীর মোহাম্মদ হোসেন?
পুলিশের দাবী এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে তাদের সিসি
ক্যামেরার আওতায়। অথচ সারাদেশ জুড়ে আলোড়িত এমন জঘন্য অপরাধের অপরাধীদের ধরতে পুলিশের
কেন এতো সময় লাগবে। দেশের মানুষের নিরাপত্তার জায়গাটা আসলে ঠিক কোথায়?
দেশের আরেক মহলে আলোচিত হছহে –
সরকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না, এমনকি সুবিচার পাওয়ার গনতান্ত্রিক
অধিকারটাও কি আমরা হারিয়ে ফেলেছি?
স্থানীয়রা মনে করছেন, ক্ষমতাসীন
দলের প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে খুনিরা পুলিশের এই অঘোষিত সহযোগিতা
পেয়েছে।
আসামি গ্রেফতারে তৎপর পুলিশ প্রশাসন
রিফাত হত্যাকাণ্ডে গত দু’দিন ধরে বরগুনায়
অবস্থান করে আসামিদের গ্রেফতার ও পুরো বিষয়টির তদারকি করছেন বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের
ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। এদিকে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ও তার
পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের গ্রামের বাড়িতে বসানো হয়েছে পুলিশ প্রহরা। পুলিশ বলছে বাক্তিগত কারনে ঘটেছে
হত্যাকাণ্ড।
সারাদেশ জুড়ে
রেড এলার্ট জারি
বরগুনা জেলা পুলিশ
সুপারের কার্যালয়ে একট প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, মামলার ১২
আসামির মধ্যে ২ জন এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে একজনকে গ্রেফতার করেছি আমরা। অন্য আসামিদের
গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, সারা দেশে এই মামলার আসামিদের ধরার জন্য
পুলিশের হেডকোয়ার্টার থেকে বিশেষ নির্দেশনা জারি হয়েছে। এমনকি দেশের সব বিমানবন্দর
এবং সীমান্তে জারি হয়েছে স্পেশাল অ্যালার্ট। পুলিশ জেভাবেই হোক আসামীদের গ্রেফতার
করবেই।
বন্ড ০০৭
বরগুনায় রিফাত হত্যাকাণ্ড
মিশন পরিচালনা করা হয়েছে ০০৭ নামের একটি ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে। তারা
এই গ্রুপটির নামকরণ করেছিল জেমস বন্ডের ০০৭ নামের সঙ্গে মিল রেখে। গ্রুপের প্রধান
নয়ন বন্ড এবং রিফাত ফরাজী ছিল সেকেন্ড ইন কমান্ড। অন্যরা ০০৭ বন্ডের সহযোগী।
No comments:
Post a Comment